সেতু না থাকায় ভোগান্তিতে রয়েছেন রসুলপুর, বর্ম্মপুর, বসতপুর, চাপর, বিরাশী, বদ্দখণ্ড, গোগর, রানীভবানীপুর, লেহেম্বা ও কোচলসহ ১২ গ্রামের হাজারো মানুষ।
উপজেলার লেহেম্বা ও হোসেনগাঁও ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে গেছে কুলিক নদী। এলাকাবাসী জানান, ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাউৎনগর এলাকায় নদীর ওপর প্রায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনের ১২ দিনের মাথায় সেটি ভেঙে পড়ে। ১৯৮৭ সালের বন্যার সময় সেতুর দুই পাশ ভেসে যায়। মধ্যখানে পড়ে থাকে সেতুর অবশিষ্ট প্রায় ৩০-৪০ মিটার অংশ।
সেতু না থাকায় এলাকার মানুষকে দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে রাউৎনগর ও কাঠালডাঙ্গী বাজারে যাতায়াত করতে হয়। এ অবস্থায় কৃষি উৎপাদিত পণ্য হাটবাজারে নিতে এবং ট্রাক্টর ও ট্রলি পার করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবার নির্বাচনের সময় চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য প্রার্থীরা এ সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউই সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেননি। বিকল্প হিসেবে স্থানীয় কয়েকজন নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করেন। তবে এতে পারাপারের জন্য পথচারীদের দিতে হয় টাকা। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি পানির নিচে তলিয়ে যায়।
হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বলেন, ‘এ সেতুর জন্য অনেক যোগাযোগ করেছি।’
রানীশংকৈর উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম জানান, বিভাগীয় উন্নয়ন প্রকল্পে এ সেতু নির্মাণের বিষয়টি আছে। তবে কখন নির্মাণ হবে তা তিনি বলতে পারেননি।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য বিএনপির জাহিদুর রহমান বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। তারা এসে মাপ নিয়ে গেছে।’